Fact

বসুন্ধরা-রংধনুর দ্বন্দের প্রভাব অন্য গণমাধ্যমেও

নাহিদুল ইসলাম: বাংলাদেশের ব্যবসায়ী গোষ্ঠীরা সাধারণত গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠা করে নিজেদের অপরাধ ঢাকতে অথবা অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে। আর এ কাজে সবসময় এগিয়ে ছিল বসুন্ধরা গ্রুপ। ইস্ট-ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের নামে তারা এক গাদা 'জণসংযোগ বা পাবলিক রিলেশন' গণমাধ্যম চালাচ্ছে। আর যখন যার বিরুদ্ধে প্রয়োজন হচ্ছে তখন ব্যবহার করছে। প্রথম আলোর বিরুদ্ধে দ্বন্দ দিয়ে বসুন্ধরা গ্রুপের গণমাধ্যমকে ব্যবহারের শুরু। এরপর নিয়মিত যমুনা গ্রুপের সাথে গণমাধ্যম দিয়ে লড়াই চালিয়েছে ভূমি দস্যুতার অভিযোগ থাকা এই শিল্প গ্রুপটি। সম্প্রতি এই বসুন্ধরা নানামুখি দ্বন্দে জড়িয়েছে তাদের সাহায্যেই বেড়ে ওঠা রংধনু গ্রুপের সাথে। এই দ্বন্দে বসুন্ধরা যেমন তাদের গণমাধ্যম ব্যবহার করছে, তেমনি রংধনু গ্রুপও তাদের গণমাধ্যমকে ব্যবহার করছে লাঠিয়াল বাহিনীর মত করে । তবে এই দুই শিল্প গোষ্ঠীর দ্বন্দের প্রভাব পড়ছে অন্যান্য গণমাধ্যমেও। আমাদের হাতে দৈনিক কালবেলার অভ্যন্তরীন একটি ম্যাসেঞ্জার গ্রুপের স্ক্রিনশট এসে পড়েছে। যেখানে কর্তৃপক্ষ সকলকে 'রংধনু গ্রুপের' বিরুদ্ধে যেকোন ধরনের সংবাদ প্রকাশ করতে নিষেধ করেছে। এর কারণ জানতে চাইলে একাধিক সংবাদকর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানায়, দৈনিক কালবেলা রংধনুর গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে আর্থিকভাবে লাভবান হয় যে কারণেই তারা পজেটিভ বা নেগেটিভ যেকোন নিউজ থেকে বিরত থাকতে চাচ্ছে।
  • Previous Post

    কামালে 'বেসামাল' এখন

Two Comments

আপনারও পছন্দ হতে পারে<

চ্যানেল ২৪-এ বিতর্কিত প্রতিবেদন: আওয়ামী লীগের প্রবাসী সরকার গঠন

প্রতিবেদনটি দেখে প্রথমেই প্রশ্ন আসে, কি দিয়ে প্রতিবেদক তার বক্তব্য এসটাবলিশড করলো? কার ইন্টারভিউ বা বক্তব্য প্রচারিত হল?

কেন আত্মহত্যা করতে হল সীমান্ত খোকনকে?

সীমান্ত খোকন জাতীয় প্রেসক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ছিলেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার দামিহা ইউনিয়নে।

মতামত দিন