রাজধানীর চামেলীবাগের বাসা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় সাংবাদিক সীমান্ত খোকনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি এনটিভির বার্তা সম্পাদক ছিলেন।মঙ্গলবার দুপুরে তাঁর ঝুলন্ত মরদেহটি উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিরুল আমীন গণমাধ্যমকে বলেন, সাংবাদিক সীমান্ত খোকন আত্মহত্যা করেছেন। তবে তাঁর মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে কোনো তথ্য জানা যায়নি।

বাংলাদেশ মিডিয়া মনিটর এই ঘটনার পর থেকে অনুসন্ধান শুরু করে। কথা হয় সীমান্ত খোকনের সাবেক ও বর্তমান একাধিক সহকর্মীর সাথে। তারা জানিয়েছেন, তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। বেশ কয়েকবার ভারত গিয়েছিলেন চিকিৎসাও করাতে। এসব কারণে আগের মত অফিসে কাজ করতে পারছিলেন না। অফিস বিষয়টিকে মানবিক দিক থেকে না দেখে পেশাদারিত্বের সাথে দেখতে শুরু করেছিলেন। যা নিয়ে তিনি বেশ খানিকটা হতাশ ছিলেন।

তবে একসময় ছাত্রদল করা সীমান্ত খোকনের ভরসা ছিল স্টেশনটির মালিক মোসাদ্দেক আলী ফালুর উপর। সে ভরসাতেই ফালু দেশে ফিরলে ছেলেকে নিয়ে দেখা করতে গিয়েছিলেন সীমান্ত খোকন এমনটা জানিয়েছেন তার এক সহকর্মী। দেখা করে, সুস্থ হবার জন্য কিছুদিন সময় চেয়েছিলেন। কিন্তু খোকনের ভরসার শেষ জায়গা মোসাদ্দেক আলীও তাকে স্থায়ীভাবেই ছুটির কথা জানিয়ে দেন।

এ প্রসঙ্গে খোকনের এক সহকর্মী বলেন, “শরীর অসুস্থ আরেকদিকে চাকরি না থাকার চাপ সীমান্ত ভাই আর নিতে পারেন নি। ফালু ভাই তার বিষয়ে চাইলেই সহানুভূতি দেখাতে পারতেন। কিন্তু দেখাননি।”

পুরো বিষয়টি নিয়ে এনটিভির কেউ খোলাখুলি কথা বলতে রাজি হননি। তবে সবার মধ্যেই চাপা ক্ষোভ ও কষ্ট কাজ করছে সহকর্মীর এমন বিদায়ে।

সীমান্ত খোকন জাতীয় প্রেসক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ছিলেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার দামিহা ইউনিয়নে। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে চামেলীবাগের বাসায় থাকতেন।