Statement

বাংলাদেশ ব্যাংকে 'বাকশাল গণমাধ্যম' মডেল

১৯৭৫ সালের জানুয়ারিতে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধন এনে বাকশাল প্রতিষ্ঠার পর ইত্তেফাকসহ মাত্র চারটি দৈনিক পত্রিকা প্রকাশ হতো। বাকি সব গণমাধ্যম বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। প্রকাশিত চারটি পত্রিকায় সরকারের পছন্দমত সংবাদই প্রকাশ হতো। গণমাধ্যমেরর স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের এই ধরনকে 'বাকশাল গণমাধ্যম' মডেল বলা যায়। সেই মডেলকেই হুবুহু আজ অনুসরণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বেসরকারি টেলিভিশন একাত্তর টিভি, সময় টেলিভিশন, চ্যানেল আই ও এনটিভিকে ডেকে ব্রিফিং করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। রোববার বিকেল সাড়ে ৪টায় এই চারটি টিভিকে ব্রিফ করেন তিনি। এসময় অন্যান্য টিভি, পত্রিকা ও অনলাইনের সাংবাদিকরা উপস্থিত থাকলেও তাদের ডাকেননি গভর্নর। তাৎক্ষণিক এর প্রতিবাদ করেন উপস্থিত সাংবাদিকরা। কি নিয়ে ব্রিফিং করা হয়েছে, সাংবাদিকরা জানতে চাইল বিষয়বস্তু জানাতে অপারগতা প্রকাশ করে মুখপাত্রের দপ্তর। মুখপত্রের দপ্তর সূত্রে জানা যায়, শুধু ওই চারটি টেলিভিশনকে ডাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যদিও তখন বাংলাদেশ ব্যাংকে চ্যানেল 24, দৈনিক আমার সংবাদ, আজকের পত্রিকা, প্রতিদিনের বাংলাদেশ, শেয়ারবিজ, দেশ রূপান্তর, এখন টিভি এবং ঢাকা টাইমস, দৈনিক কালবেলা ও বিডিনিউজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। তবে তাদের ব্রিফিংয়ে অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া হয়নি। ‘দেশের অর্থনীতি এখন তলানিতে, চাকরিজীবনে অর্থনীতির এমন খাবার খারাপ অবস্থা আর দেখিনি’- এমন মন্তব্য করে সম্প্রতি চাপে রয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। এ বিষয়ে সাফাই গাইতে শুধু চারটি টেলিভিশনকে ডেকে ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর গণমাধ্যম বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এভাবেই আসলে 'বাকশাল গণমাধ্যম' মডেল সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে রাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে প্রতিষ্ঠার কাজ চলছে খুব কৌশলে।
  • Previous Post

    কালবেলা কি মাস্তান দিয়ে চলছে!

Two Comments

আপনারও পছন্দ হতে পারে<

মতামত দিন