বিএমএম: স্যাটেলাইট বিল বকেয়া থাকায় গত বৃহস্পতিবার থেকে গ্রিন টিভি সম্প্রচার বন্ধ ছিল। এরপর গত রবিবার বকেয়া বিল পরিশোধ হলে, বিকেলের দিকে সম্প্রচার শুরু হয়। সম্প্রচার শুরু হবার কিছুক্ষণ পর সবাই লক্ষ্য করেন, লগো বাম সাইডের পরিবর্তে ডান সাইডে চলে গেছে। দ্রুত এমসিআরে যোগাযোগ করা হলে জানা যায়, ঢাকা অফিসের হাতে সম্প্রচারের ফিড নেই। অন্য কোথাও থেকে চালানো হচ্ছে গ্রিন টিভি। আধা ঘন্টা চলার পরই বন্ধ হয়ে যায় আবার সম্প্রচার । একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, চট্টগ্রামের একজন ব্যক্তি নিয়ে নিয়েছেন গ্রিন টিভির পুরো দায়িত্ব। ফলে এখন আর রফিকুল ইসলাম ওরফে আন্ডা রফিকের কিংবা ঢাকা অফিসের কোন নিয়ন্ত্রণ নেই টেলিভিশনটির উপর। এদিকে আজ সকালে বেশিরভাগ সাংবাদিক-কর্মীদের কাল থেকে অফিসে আসতে নিষেধ করা হলে , ক্ষুদ্ধ্ব হয় স্টুডিও থেকে শুরু করে বিভিন্ন রুমে তালা ঝুলিয়ে দেয়। েরপর অফিসে অবস্থান করেই তারা ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকে। বসুন্ধরা গ্রুপের সাথে ঝামেলায় জড়িয়ে আগে থেকেই বিপাকে ছিল গ্রিন টিভির মালিকানা প্রতিষ্ঠান রংধনু গ্রুপ। নানাভাবে গ্রুপটির চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামকে চাপে রেখেছিল বসুন্ধরা গ্রুপ। টেলিভিশনটির আরেক শেয়ারহোল্ডার সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের দূর্নীতির সংবাদ ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করে তাকেও চাপে রেখেছিলো বসুন্ধরা গ্রুপ। অপরদিকে, বসুন্ধরার সাথে ঝামেলা শুরু হবার পর থেকেই এই টেলিভিশনের অপর দুই অংশিদার গোলাম দস্তগীর নিশাত ও বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ অন্য আরেকটি বেসরকারি টেলিভিশন কেনার জন্য ব্যস্ত হয়ে ওঠেন। গ্রিন টিভির সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে সম্প্রচারে থাকা ঐ বেসরকারি টেলিভিশনটি কেনার জন্য তারা দেশে-বিদেশে লবিং এর পাশাপাশি নানা ধরনের ষড়যন্ত্রেও লিপ্ত রয়েছেন।