বজলুর রশিদ: সম্প্রচারে আসার পর থেকেই আলোচনায় বিজনেস ভিত্তিক বেসরকারি টেলিভিশন 'এখন'। বেতন বৈষম্য, একাধিক নারী কেলেংকারি, কট্টর বিরোধী মতের সাংবাদিকদের পূনর্বাসন, নিয়মিত কর্মকর্তাদের অফিসে এবং বাইরে নজিরবিহীন দুর্নীতি টেলিভিশনটিকে সবসময়ই আলোচনায় রেখেছে। ফলে বাধ্য হয়ে অনেকেই গণমাধ্যমটি ত্যাগ করেছে। এই হাউজ 'ছাড়াদেরই' একজন ন্যাশনাল ডেস্ক ইনচার্জ কামাল শাহরিয়ার। সূত্র বলছে, 'মন খারাপ' করেই কামাল ফিরে গিয়েছিল তার পুরাতন প্রতিষ্ঠান 'সময়' টেলিভিশনে। সেখানে গিয়ে কামালই কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে এখন টিভির জন্য। এক কামালেই বেসামাল এখন টিভির ন্যাশনাল ডেস্ক। সম্প্রতি সময় টিভিতে যোগ দিয়েছেন এখন টিভির রংপুর ব্যুরো চিফ নিশাত। অনেক চেষ্টা করেও নিশাতকে আটকাতে পারেনি এখন টিভি। আর এর পেছনের কারিগর এখন টিভিরই সাবেক ন্যাশনাল ডেস্ক ইনচার্জ কামাল শাহরিয়ার। একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, এখন টিভির আরও বেশ কয়েকজন প্রতিনিধি ও ব্যুরো প্রধান সময় টিভিতে খুব শীঘ্রই যোগদান করবেন। যার প্রস্তুতি পুরোপুরি সম্পন্ন করেছে সময় টেলিভিশন। এখন টিভি কতৃপক্ষের অবহেলা, ২ বছরেও ইনক্রিমেন্ট না হওয়া সহ নানা কারনে 'এখন' ছাড়ছেন অনেকেই। বিশেষ করে নিউজ রুমের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তার আচরণে ক্ষুদ্ধ নিউজ রুম ও জেলার প্রতিনিধিরা। সম্প্রতি সময় টিভির উচ্চ পর্যায়ের একটা দল বিভিন্ন জেলা ভ্রমণ করছে। এই ভ্রমণের মাধ্যমেই নির্বাচনের আগে বেশ কয়েকটি জেলা এবং ব্যুরোতে পরিবর্তন আনছে তারা। আর তাদের প্রথম টার্গেট 'এখন' টিভির জেলা প্রতিনিধি ও ব্যুরো চীফ। এ বিষয়ে কামাল শাহরিয়ারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি বিএমএমকে বলেন, সাংবাদিকতা ও মিডিয়ায় 'হাউজ বদল' নতুন কিছু নয়। একজন সংবাদকর্মী কোন প্রতিষ্ঠানে কাজ করবে তা একদমই তার ইচ্ছার ওপর নির্ভর করে। এটাই হয়ে আসছে যুগের পর যুগ। তিনি আরও যোগ করেন, 'এখন' ছেড়ে সময় টিভিতে যোগ দেয়ার বিষয়টিও এমন। যারা এসেছেন তারা তাদের নিজেদের কমফোর্ট জোন চিন্তা করেছেন। কর্মপরিবেশ ও কাজের সুযোগ বিবেচনায় নিয়েছেন। একইভাবে তাদের ভালো লাগাটা কাজ করেছে। যোগাযোগ ও সমন্বয় সংক্রান্ত ইস্যুও থাকতে পারে। এটা একান্তই একজন সংবাদকর্মীর ব্যক্তিগত অবস্থান- সেখানে খুব একটা জোর বা প্রভাবিত করার বিষয় থাকেনা। তবে 'এখন' ছেড়ে অনেকে তো অন্য প্রতিষ্ঠানেও গেছে। সবাই তো সময়-এ আসেনি।