সানজিদা আফরিন সন্ধ্যা: ক্রিকেট " ধর্ম" উপমহাদেশে খুব জনপ্রিয় আফিম।ক্রিকেট অবশ্য এই অঞ্চলের পৈতৃক সম্পত্তি নয়। সাহেবদের দেশ থেকে আমদানি বলুন আর ধার করে নিয়ে আসা এই নতুন আঙ্গিকের ধর্ম এখন মানে নব্বয়ের দশক থেকে মানুষের সভ্যতা,ভব্যতা আর কালচারাল যে জোন সেখানে ঢুকতে থাকে।
উপমহাদেশে ক্রিকেটে রেঁনেসার জন্ম হয় ১৯৮৩ সালে কপিল দেবের ভারতের হাত থেকে।সেই সময়ের ভিভিয়ান রিচার্ডস,ক্লাইভ লয়েড, ডেভিড লয়েড,ম্যালকম মার্শালদের মহাপরাক্রমশালী ক্যারিবীয়দের হারিয়ে শিরোপা নিজেদের করে নেয় পাশের দেশ ভারত। এরপর ৯২ এর ইমরান, ৯৬ অরবিন্দরা ক্রিকেট ধর্মের পালে হাওয়া দিলে উপমহাদেশের পালিত পুত্র ক্রিকেট, হয়ে উঠে ব্লাড রিলেটেড ক্রিকেট।
বলা বাহুল্য, ১৯৭১ পরবর্তী একটা উঠতি দেশে ক্রিকেট ধীরে ধীরে জায়গা করে নেয়। বাংলাদেশে ক্রিকেটের শুরু মুলত ১৯৯৭ তে আই সি সি ট্রফি জয়ের পর থেকেই।তবে ক্রিকেট কে ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে দিতে সব থেকে বড় ভুমিকা যেটা পালন করেছে তা হলো গণমাধ্যম। ডিশ, এন্টেনা,টিভি কিংবা ইন্টারনেটের অবাধ ব্যাবহার না থাকলেও বেতার যন্ত্র( রেডিও) ছিল এই ক্রিকেট প্রচারের সব থেকে বড় মাধ্যম।
চৌধুরি জাফরুল্লাহ শরাফাত,সাইদুর রহমান,কিংবা প্রয়াত খোদা বক্স মৃধাদের কাছে ক্রিকেট ছিল পবিত্র ধর্ম আর প্রচার মাধ্যমের ধারাভাষ্যকার হিসেবে তারা মানুষকে মাঠের খবর জানাতে কিংবা বিনোদন দিতে নিজেদের সর্ব্বোচ্চটা ঢেলে দিতেন ধারাভাষ্যকক্ষে। এরপর ফুটবলে নানামুখী দুর্বলতার সুযোগ আর খানিকটা সাহেবি কালচারের হাত ধরে দেশের ক্রিকেট জায়গা করে নেয় বিরাট পরিমন্ডল জুড়ে।এর সাথে যোগ হয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া। গুটি গুটি পা বাড়িয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট এখন দুই যুগ পার করেছে। সীমাবদ্ধতা বড়তে অনিয়ম, দুর্নীতি আর সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহনের অভাব ছাড়া তেমন কিছুই চোখে পড়ে না। তবে এগুলো যে সারিয়ে তুলবে এই ধরনের মানুষও কম!
নবীনদেশ হিসেবে বাংলাদেশ ১৯৯৯, ২০০৩,২০০৭, ২০১১,২০১৫, ২০১৯ ও দিন কয়েক আগে শেষ হওয়া ২০২৩ বিশ্বকাপে অংশগ্রহন করে। বছরের পর বছর অংশগ্রহন করলেও ব্যর্থতার যে বেড়াজাল তা থেকে দেশীয় ক্রিকেট বের হতে পারেনি,কেন যেন পারে না।এর পিছনে অবশ্য দেশীয় আবহাওয়া,ইনফ্রাকট্রাকচার, পিচ, ক্রিকেটার সিলেক্ট করা সহ নানামুখী বিষয় জড়িত।
এসব বিষয় আছে,থাকবে।আজ আমরা ক্রিকেট এবং মিডিয়া সম্পর্কে কিছু কথা বলার চেষ্টা করবো।প্রথমে আমাদের একটা বিষয় পরিষ্কার হওয়া উচিৎ যে মিডিয়া এবং এর কাজ কি?
মিডিয়া বা গণমাধ্যম হলো সেই প্রক্রিয়া, যা প্রয়োজনে ব্যক্তির নিরাপত্তা প্রদান করে তার সম্পর্কে ( তার ভালো মন্দ) জাতি বা দর্শক শ্রোতাদের মাঝে পৌছে দেয়। সঠিক তথ্য উপস্থাপনের মাধ্যমে সমাজের মানুষকে কোন বিষয় সম্পর্কে ওয়াকি বহল করে কিংবা ধারণা প্রদান করে।

আগে বলছিলাম,ক্রিকেট জনপ্রিয় হওয়ার সাথে সাথে বেড়ে উঠেছে ক্রিকেট নির্ভর মিডিয়া, তৈরি হয়েছে ক্রিকেট নির্ভর সংবাদ বিভাগ। তবে এই ক্রিকেট নির্ভর সাংবাদিকতা একটু বেশি বা আরো বেশি স্বার্থ নির্ভর।সাংবাদিকতার এই বিভাগ ক্রিকেট নিয়ে কথা বলার সময় ক্রিকেটার নির্ভর সাংবাদিকতা শুরু করে, কখনও দেশের ক্রিকেটের মূল সমস্যা( পিচ সমস্যা,গামিনি ডি সিলভা পয়জন,পাপনের বট গাছ হয়ে ওঠা,স্বার্থ,প্রশ্নবিদ্ধ দল সিলেকশন,সহ নানা কেলেংকারী বিদ্যমান) বাদ দিয়ে ব্যক্তিগত আক্রমন আর পরচর্চা -পরনিন্দায় জড়িয়ে পড়েছে আর সেটা খুব খোলাখুলি ভাবে।
ক্রিকেট সাংবাদিকতা অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয় হলেও সাংবাদিকদের বিবেচনার ঘাটতি,জ্ঞানের স্বল্পতা,অর্থ লোভ আর সাংবাদিক জগতে মহীরুহ হয়ে উঠার প্রবণতা থেকে নানা সুযোগ -সুবিধা আর ক্ষমতার মেরুকরণের সাথে সাথে ক্রিকেট নির্ভর সাংবাদিকরা হয়ে উঠছে ক্রিকেট কনটেন্ট ক্রিয়েটর! এভাবেই ক্রিকেট গিলে নিচ্ছে সামগ্রিক পুঁজিবাদ। বলা বাহুল্য এখানে পুঁজি হলো দর্শক আর উলাট-পালোট শিরোনাম! আর দর্শক টানতে ক্রিকেট সাংবাদিকতায় যুক্ত হচ্ছে সাংবাদিকতার নব্য আগ্রাসী ধারা "শিকারী সাংবাদিকতা!"
এই শিকারি সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে সব থেকে বড় ভুমিকা পালন করছে " একাত্তর টেলিভিশন ও তার খেলা বিভাগ "খেলাযোগ" আগে বলেছিলাম সাংবাদিকরা ভিউজ, ফেক রেসপেক্ট আর অর্থের পিছে ছুটতে গিয়ে কনটেন্ট ক্রিয়েটর হয়ে উঠছেন! এখন এই কনটেন্ট ক্রিয়েটর জিনিসটা মোটাদাগে কি?
একদম সহজ, অনুমান নির্ভর অসত্য কিংবা অর্ধসত্য কথা সেটা আবার লাগামছাড়া ভাবে বিশ্বাসের সাথে উপস্থাপন, I have my voice And I will speak out, to hell with honesty and justice. এই টাইপের বিষয়, বাছ-বিচার ছাড়া যা খুশি বলা, জবাবদিহিতার কোন দরকার পড়েও না, দরকারও নেই।

বলা হয়ে থাকে একাত্তর ক্ষমতাসীন দলের মদদপুষ্ট চ্যানেল। আর এর ফলে যা হচ্ছে তা হলো এরা সাংবাদিকতার যে নুন্যতম নীতি-নৈতিকতাকেও মানছে না, ইচ্ছে মতো শিকারী ঈগল বা শৃগালের মতো একের পর এক শিকার করছে দেশের ক্রিকেটের রথী মহারথীদের। এদের শিকারের তালিকায় আছে সাকিব, তামিম, কোচ হাথারুসিংহ, সহ বাদ যান না ইয়াসির আলী রাব্বি, নাঈম শেখ কিংবা বিদেশী খেলোয়াড় কিংবা কোচ।
এই রকম শিকার করার মতো কিছু সংবাদের শিরোনাম:
★কোচ হাথারু থেকে "টাইগারদের প্রধান বিজ্ঞানী হাথারু"
★বিসিবি ঘুমে, ৯৩ মিনিটের ঝড় পিসিবিতে!
★যত বড় মুখ নয় ততো বড় কথা!
★তামিম-সাকিব দ্বন্দ নিরসনে ব্যর্থ বোর্ড, প্রভাব জাতীয় দলে।
★সাকিব কেন বিশ্বকাপের মাঝপথে বাংলাদেশে!
এবার চলুন শিরোনাম গুলোর বাস্তবতা একটু খুঁজে আসি-
★কোচ হাথারু থেকে টাইগারদের প্রধান বিজ্ঞানী হাথারুঃ প্রথম কথা প্রথমেই বলে নেওয়া যাক তাহলো ব্যাটিং পজিশন কোচ একা নির্ধারণ করেন না।অধিনায়ক,দলের সিনিয়র খেলোয়াড় আর স্টাফরা মিলেই ব্যাটিং পজিশন নির্ধারণ করেন। এখন দল খারাপ করছে আর হাথারুর আগের কিছু স্ট্রিক্ট কার্যক্রমের জন্য আপনি একবারে বাঘ হরিণ শিকার করার মতো হাথারুকে ধরবেন বিষয়টা সার্কাস্টিক না? আর যদি হাথারু নিজে চেঞ্জ করেও থাকে তাহলে কেন? করেছে কারন আপনার বা আমাদের দেশের যে পিচ ওগুলো পাটা পিচ, ওখানে সিম সুইং হয় না। পিচে খুব ভালো মানের স্পিনার না হলে টার্নও পান না।যদিও পিচ স্পিন করে তাহলে সেটা আর পিচ থাকে না ওটা হয়ে যায় ব্যাটারদের মৃত্যু কুপ।এখন বছরের পর বছর বছর আপনি দুইজন ব্যাটার একজন বোলার নিয়ে একাদশ সাজাবেন আর মেগা টুর্নামেন্টের সময় যখন খারাপের পর খারাপ,তার থেকে হতশ্রী খেলা খেলবেন তাহলে তো কোচ ভদ্রলোক বাধ্য হবেন ব্যাটারের পজিশন চেঞ্জ করতে,এজন্য কি বিজ্ঞানী হওয়ার প্রয়োজন আছে? নাহ। একদমই না তবে যেটা দরকার তা হলো প্রথম শ্রেনীর ক্রিকেটের মান উন্নয়ন,পিচ,বল আর খেলোয়াড়দের উন্নতি, মজার বিষয় হলো এগুলোর কোনটায় হয় না,যা হয় তাহলে ক্রিকেট কোচ থেকে হাথারু সিংহ হয়ে উঠেন খেলাযোগের তৈরি করা বিজ্ঞানী!
★বিসিবি ঘুমে,৯৩ মিনিটের ঝড় পিসিবিতেঃ একটা দল পুরো বিশ্বকাপে বাজে ভাবে হেরেছে এটা সত্যি।আরো সত্যি হলো প্রতিবার যখন বাংলাদেশ দল কোন বৈশ্বিক আসরে খারাপ খেলে তখনই পুরো টিম ম্যানেজমেন্টের কোচিং স্টাফ থেকে শুরু করে সব কিছুই মোটামুটি চেঞ্জ হয়, কনটেন্ট ক্রিয়েটর'রা এই সুযোগে অর্থ এবং কনটেন্ট দুই দিক দিয়েই লাভবান হন। তবে টচ -জলদি ভালো সিদ্ধান্ত কি কোন দিন এসেছে? আর সত্যি কথা হলো সাংবাদিক বা কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের কলম বা কাগজের বাঘ বা বাংলাদেশ দল কি আদৈ সেমি ফাইনাল খেলার মতো দল ছিল,না আছে? তাহলে এই শিরোনামে নিউজ তৈরি করে পাবলিক সেন্টিমেন্টে হিট করা ছাড়া দেশের ক্রিকেটের উন্নতি বা ভুল দেখানোর আদৈ কোন ইচ্ছা বা সৎ সহাস এই খেলাযোগ" শিকারি গোষ্টীর" ছিল?
★ তামিম -সাকিব ইস্যুঃ ইগো,সেল্ফ রেসপেক্ট ইস্যু আছে, থাকবেই।এর মধ্য দিয়ে বড় খেলোয়াড়'রা নিজেদেরকে আরো উঁচু অবস্থানে নিজেদের কে নিয়ে যান। আর সব দলেই মোটামুটি এই রকম থাকে যেমন ধরেন শ্রীলংকা দলে তিলেকারাত্নে দিলশান- উপুল থারাঙ্গার দ্বন্দ্ব, পাকিস্তানের দুই গ্রেট ওয়াশিম আকরাম ও ওয়াকার ইউনিসের দ্বন্দ্ব, ভারতীয় ক্রিকেটে রোহিত- কোহিলি ইত্যাদি।এখন নিজেরা টি.আর. পি বাড়াতে গিয়ে দলের ভিতরেে খবর মাছের বাজারে লুটিয়ে কার লাভ,কার স্বার্থ হাসিল করতে চায় এই একাত্তর? আরো উদাহারন দেওয়া যেতে পারে আই পি এল ম্যাচ ফিক্সিং কেলেংকারীতে অজিত চন্ডিলা,শ্রীশান্ত সহ অনেকের নাম ছিল, সব থেকে বড় নাম ছিল মহেন্দ্রসিং ধোনীর তবে সেটা ক্রিকেট বিশ্বে সব থেকে প্রভাবশালী মিডিয়া ভারতীয় মিডিয়া তারা কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেটের স্বার্থে মহেন্দ্রসিং ধোনীকে নিয়ে পুরো বিষয়টা চেপে যান।আরো আছে, চোখের সামনে বাংলাদেশে ক্রিকেটের সব থেকে বড় তারকা আশরাফুলের ক্যারিয়ার ধ্বংসের পিছে সব থেকে বড় ভুমিকা পালন করেছিল সেই সময়ের শিকারি মিডিয়া গুলো, সেটার নেতৃত্বে ছিল দেশের প্রথম সারির এক পত্রিকা। তাহলে আবারো কি দ্বন্দ্ব সামনে নিয়ে এসে বাংলাদেশ দলকে বিভক্ত করতে চাচ্ছে খেলাযোগ?
★লিটন ইস্যুঃ লিটন দেশের ইতিহাসে অন্যতম প্রতিভাবান ক্রিকেটার।বিশ্বকাপে প্রত্যাশা অনুযায়ী খেলতে পারেন নি।সন্তান সম্ভাবা স্ত্রী দেশে। এরপর সাংবাদিকরা তাকে নিশানা করে একের পর এক তীর ছুড়ে চলেছেন। প্রশ্ন বান আর রান খরার চাপ, আপনার আমার উপর এরকম হলে কি হতো? বেচারা লিটন আর দশটা স্বাভাবিক মানুষের মতো সাংবাদিক দের সাথে উগ্র ব্যাবহার করেছে মাফ চেয়েছে।বিশ্বকাপের প্রথম সেমি ফাইনালে পিচ নিয়ে বিতর্কে পড়ে ভারতীয় দল।ম্যাচ শেষে সাংবাদিক দের প্রশ্নের জবাবে শুভমার গিল বললেন তিনি জানেন না পিচ নিয়ে কি হয়েছে।এখন যদি ক্রিকেটার মাঠের বাইরে কি হচ্ছে,যদি গিল না দেখেন মাঠের বাইরে কি চলছে বা বাইরের জনগণ কিংবা প্রতিপক্ষ কি ভাবছে তাহলে লিটনকে কেন জানতে হবে যে তার ফর্ম বা তার রান না পাওয়া নিয়ে ড্রেসিং রুমের বাইরে কি চলছে, মানে কেন জানতে হবে? আর লিটন যদি বলে কে কি ভাবছে,কে কি বলছে সেটা কতো বড় কথা বা মুখ কতো বড় তা পরিমাপ করার জন্য খেলাযোগ বা একাত্তর কেন দর্জি বনে গেল?
★সাকিব কেন বিশ্বকাপ চলাকালে দেশেঃ দেশের ১৮ কোটি জনগণের ৮ কোটি মানুষ ক্রিকেট দেখলে ৭ কোটি মানুষ জানে সাকিব কেন বিশ্বকাপ চলাকালীন দেশে আসছিলো।মানুষ যেটা জানে না সেটা হলো বিতর্ক আর ঝামেলা তৈরি করার জন্য খেলাযোগ এই শিরোনাম তৈরি করেছে, মাঝ দিয়ে টি.আর. পি, পাবলিক সেন্টিমেন্ট আর কিছু আর্থিক লাভও হয়েছে এদের!
বাংলাদেশ ক্রিকেট প্রতিবার, প্রতিবার বড় টুর্নামেন্টে ব্যার্থ হয় আর সাথে একদম নুঁইয়ে পড়া বাংলাদেশ টিম কে আরো বেশি ডাউন করে দিতে উদয় হয় এই সব কনটেন্ট ক্রিয়েটর নামের সাংবাদিক অথবা সুযোগ সন্ধানী সুবিধাবাদী ব্যক্তি বা চ্যানেল! অথচ প্রশ্ন করা যেতো বছরের পর বছর একই ব্যক্তি কোন ক্ষমতাবলে সভাপতির পদে থাকে, কোন বিবেচনায় ফর্মহীন একজন ব্যাটার বা বোলার দলে জায়গা পায়, কোন চাহিদার ভিত্তিতে বছরের পর বছর গামিনি ডি সিলভা পিচ কিউরেটর হয়ে আসে! কোন যোগ্যতায় দেশে যথেষ্ট মানসম্পন্ন কোচ থাকার পর বিদেশ থেকে অযোগ্যদের আমদানি রফতানি করতে হয়, প্রশ্ন করা যেতে পারে কেন আম্পায়ার বলে ৩৫-৪০ রান করে আউট হতে হবে,কেন বলে আমাদের হাতে কিছু নেই তোমাদের হারাতে হবে! কেন প্রথম শেণীর ক্রিকেটে স্পট ফিক্সিং থেকো হাজারো রকমের গড়া-পিটা ম্যাচ চলে!
প্রশ্ন হোক, কেন বয়স ভিত্তিক ক্রিকেট হয় না,কেন দুর্নীতিতে বয়স ভিত্তিক ক্রিকেট শেষের পথে, প্রশ্ন হোক কেন ৯০০ কোটি টাকার বিসিবির প্রতি বিভাগে মাঠ নেই,কেন জেলা ভিত্তিক ক্রিকেট টুর্নামেন্ট হয় না কিংবা কবে বাংলাদেশ থেকে ভালো মানের কিউরেটর তৈরি হবে! মুশকিল হলো এসব নিয়ে প্রশ্ন হয় না কারন এখানে ব্যক্তিকে এককভাবে দায়ী করা যায় না,সিস্টেমের বিপক্ষে গেলে নিজে ক্ষমতা দন্ড ছুয়ে দেখা যায় না কিংবা বোর্ড কর্তাদের প্রিয়পাত্র হওয়া যায় না,সফরের পর সফর বিশেষ সুবিধা পাওয়া যায় না কিংবা গিফট পার্সোনাল ঠিকানায় পৌঁছায় না!
Two Comments