বছরের প্রথম ছয় মাসে মিথ্যা বা বিভান্তিকর তথ্য ছড়ানোর শীর্ষ পাঁচ টিভির তালিকায় রয়েছে ১৩টি টেলিভিশন স্টেশন। এরমধ্যে ৭টিই সংবাদভিত্তিক টেলিভিশন স্টেশন। বাকিগুলো মিক্সড চ্যানেল। এর মধ্যে একই মালিকানা প্রতিষ্ঠানের আছে দুইটি স্টেশন। সাত সংবাদভিত্তিক চ্যানেলের মধ্যে সময় টিভি এবং একাত্তর টিভি বিগত সরকারের আমলে রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডা টিভি স্টেশন হিসেবেই পরিচিত ছিল। স্টেশন দুইটির অনলাইন এবং টেলিভিশনে প্রচুর মিথ্যা , বানোয়াট এবং বিভান্তিকর ছড়ানোর অভিযোগ রয়েছে। একাত্তর টিভির চেয়েও সময় টিভি এই কাজে আগানো ছিলেন। এই কাজের জন্য টেলিভশন দুইটি নিয়মিত ফান্ডও পেতেন বলে জানা যায়। জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত সময় টেলিভিশন ১২টি মিথ্য ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে টেলিভিশনগুলোর মধ্যে আরটিভির সাথে শীর্ষে রয়েছে। আরেক রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডা চ্যানেল হিসেবে পরিচিতি পাওয়া একাত্তর টিভি ৭টি এ ধরনের সংবাদ প্রচার করে বিএনপি 'ঘরনার' মালিকের প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিতি পাওয়া বাংলাভিশন ও এনটিভির সাথে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। এদিকে চতুর্থ স্থানে থাকা যমুনা টিভি ও নিউজ২৪ মূলত দুইটি ব্যবসায়ীক গোষ্ঠির নিজস্ব প্রোপাগান্ডা টুলস হিসেবে ব্যবহার হবার প্রমাণ পাওয়া যায় একদম শুরু থেকেই। এই চ্যানেল দুইটির মালিকানায় রয়েছে যথাক্রমে যমুনা গ্রুপ ও বসুন্ধরা গ্রুপ। এই দুই ব্যবসায়ী গোষ্ঠী একে অপরের শত্রু হিসেবে বছরের পর বছর ধরে অনলাইন, অফলাইন ও গণমাধ্যমের মাধ্যমে লড়াই চালিয়ে আসছে। দুইটি টেলিভিশনই ৬টি করে বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ করেছে। এদিকে বেঙ্গল গ্রুপের মালিকানায় থাকা আরটিভি সময় টিভির সাথে যেমন শীর্ষে রয়েছে ঠিক সেভাবেই তাদের আরেক টেলিভিশন চ্যানেল বায়ান্ন টিভি রয়েছে ৫ নাম্বারে। কাজেই প্রাতিষ্ঠিকভাবে এগিয়ে রয়েছে ব্যাঙ্গল গ্রুপ। তাদের দুই প্রতিষ্ঠান মোট ছড়িয়েছে ১৭টি অপেশাদার তথ্য (আরটিভি ১২টি ও বায়ান্ন ৫টি)। এছাড়া একে আজাদের হামীম গ্রুপের চ্যানেল২৪কে অনেকে নিরপেক্ষ টেলিভিশন হিসেবে জানলেও তালিকায় দ্বিতীয় স্থান দখল করার জন্য তারা ছড়িয়েছে ১০টি সংবাদ। সমপরিমাণ বিভ্রান্তিকর ও মিথ্যা সংবাদ ছড়িয়েছে আওয়ামী লীগ নেতা ইকবাল সোবাহান চৌধুরীর ডিবিসি নিউজ। বিএনপির 'মালিকানা' বলে পরিচিত বাংলাভিশন ও এনটিভিও মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারে পিছিয়ে ছিল না। এই দুইটি মিক্সড চ্যানেল ৭টি করে অপেশাদার সংবাদ প্রচার করেছে। এছাড়াও দেশের ছাত্র আন্দোলনকে উষ্কে দেয়ার জন্য অন্যতম দায়ী হিসেবে দেখা হয় এটিএন নিউজের বার্তা প্রধান প্রভাষ আমীনকে। সেই প্রভাষ আমীনের চ্যানেলও ছড়িয়েছে ৫টি অপেশাদার সংবাদ। এছাড়াও ৫টি করে 'এমন' সংবাদ ছড়ানোর তালিকাতে আছে চ্যানেল আই ও দেশ টিভির মত বিতর্কিত দুইটি টেলিভিশনও। ১. সময় টিভি, আরটিভি ২. চ্যানেল২৪, ডিবিসি নিউজ ৩. একাত্তর টিভি, বাংলাভিশন, এনটিভি ৪ যমুনা টিভি, নিউজ২৪ ৫. চ্যানেল আই, এটিএন নিউজ, দেশ টিভি, বায়ান্ন টিভি তথ্য সহয়তা: রিউমর স্ক্যানার