Free Press

গোয়েন্দা সহয়তায় চলতো স্বাধীনতা সাংবাদিক ফোরাম

স্বাধীনতা সাংবাদিক ফোরামের স্ক্রিনশট প্রকাশের পর এই সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য আসতে শুরু করে আমাদের কাছে। আমরাও তখন আরও অনুসন্ধান শুরু করি। আমরা দেখতে পাই এই সংগঠনটি অনলাইনের পাশাপাশি অফলাইনেও কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছিলেন। এই গ্রুপে যুক্ত ছিলেন এমন একাধিক সংবাদকর্মী জানিয়েছেন, তারা যুক্ত থাকলেও এক্টিভ ছিলেন না। তবে বের হয়ে যাননি কেন তার সদুত্তর কেউই দিতে পারেননি। তবে গ্রুপের খুব গুরুত্বপূর্ণ একজন সদস্য নিশ্চিত করেছেন, এই সংগঠনটি মূলত ২০২২ সাল থেকেই দেশের একটি গোয়েন্দা বাহিনীর পরিকল্পনায় কার্যক্রম শুরু করেছিলো। আমরা এরপর গোয়েন্দা সূত্র খোঁজার চেষ্টা করি এবং জানতে পারি, মূলত মিলিটারি ইন্টেলিজেন্সের তত্ত্বাবধায়নেই চলছিল এই গ্রুপটি। গ্রুপের এডমিনেও গোয়েন্দাদের ২/১ জন ছিলেন একসময়। এমনকি সাংবাদিকদের গ্রুপে একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষককেও রাখা হয়েছিল বিভিন্ন বিষয়ে প্রোপাগাণ্ডা ছড়ানোর জন্য। এরপর আমরা সংগঠন পরিচালনার টাকার উৎসের দিকে নজর দেই। সরাসরি গোয়েন্দারা এই সংগঠনটিকে ফান্ড দিতেন না। ফান্ড আসতো চৌধুরী নাফিজ সরাফাতের পদ্মা ব্যাংকের মাধ্যমে। একজন সাংবাদিক তা সংগ্রহ করে নিয়ে আসতেন। প্রতিমাসে হোয়াটসআপ গ্রুপ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পেতেন ২ লাখ করে টাকা। দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না থাকায় আমরা সেই সাংবাদিকের নাম প্রকাশ করছি না সতর্কতার সাথেই। নিয়মিত ফান্ডের পাশাপাশি ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে ফান্ডের পরিমাণ বাড়তে থাকে। কোন মাসে ৫ লাখের উপরেও ফান্ড আসতে থাকে। যার কারণ খুঁজতে গিয়ে আমরা দেখতে পাই , সংগঠনটি অফলাইনেও প্রোগ্রাম শুরু করে। নভেম্বরের ২১ তারিখ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফকে প্রধান অতিথি করে প্রোগ্রাম করেন। এমন ছোট-খাটো অনুষ্ঠান তাদের দিয়ে নিয়মিতই করানো হতো। এই বিষয়ে গ্রুপটির বেশ কয়েকজন সদস্যদের সাথে কথা বলা হয়েছে। তারা জানান, আমাদের গ্রুপে জানিয়ে দেয়া হতো । কখনও পারসোনালিও বলা হতো, কিন্তু যেতাম না। তবে এমন কথা বলাদেরও অনুষ্ঠানে থাকার ছবি আমরা পেয়েছি। এর পাশাপাশি সবাইকে বলা হতো সংবাদ গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করার জন্য। এটা কম-বেশি সবাইই করতেন।  
  • Previous Post

    ১৮৩ সাংবাদিকের বেতন দশ মাস ধরে আটকে রেখেছে বসুন্ধরা গ্রুপ

Two Comments

আপনারও পছন্দ হতে পারে<

চা শ্রমিকদের চেয়েও কম বেতন দেয় ঢাকার কিছু গণমাধ্যম

গণমাধ্যমের এই প্রতিটি শাখাতেই বেতন বৈষম্যের পাশাপাশি রয়েছে আরেকটি ভয়ংকর দিক, তা হলো বেতন বৃদ্ধি না হওয়া। কোথাও কোথাও তো বেতন বৃদ্ধি হয় না বহু বছর। আবার কোথাও কোথাও হলেও তা নামমাত্র 'ইনক্রিমেন্ট'।

চাঁদ রাতে সারাবাংলার 'ব্যতিক্রমী' ঈদ বোনাস: জেলা প্রতিনিধিদের বোনাস চাওয়ায় চাকরিচ্যুত

এমন সিদ্ধান্তকে অনেকেই ব্যঙ্গ করে বলছেন—এটাই সারাবাংলার 'ব্যতিক্রমী ঈদ বোনাস।

অসোন্তষ ছড়িয়েছে জেমকন গ্রুপের ঢাকা ট্রিবিউনে

এদিকে, কর্মীদের শান্ত করতে আগামী রোববার বিশেষ সভা আহ্বান করেন বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ব্যর্থ, সম্পাদক জাফর সোবহান।

মতামত দিন